‘বিষয়টি খুবই গুরুত্বর্পূণ, এবং এ ব্যাপারে যথেষ্ট চিন্তা ও গবেষনার প্রয়োজন। এখানে যে বক্তব্যটি পেশ করছি তা মূলত জামায়াতে ইসলামীর সাথে ভালোভাবে যুক্ত দু’জন বিজ্ঞ ব্যক্তির মধ্যকার আলোচনা। তাঁরা জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কেই আলোচনা করেছেন। কিন্তু আমরা মনে করি যে, এি আলোচনাটির পরিধি ব্যাপক। এ বিষয়টি পাকিস্তানের সকল ইসলামী দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ; বরং এক দৃষ্টিকোণ থেকে গোটা পৃথিবীর ইসলামী দলসমূহের সাথেই বিষয়টি জড়িত। তুরস্কে রয়েছে একটি ইসলামী শক্তিশালী দল, তিউনিসিয়ায় ইসলামী একটি দল আধিক্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, এ দিকে মিসরসহ অন্যান্য জায়গায় ইসলামী আন্দোলনের চেষ্ট চলছে। খোদ পাকিস্তানের এক অংশে ইসলামী দলগুলো বেশ শক্তি অর্জন করে ফেলেছে। এজন্য এ প্রশ্নের উপর যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজন যে, পশ্চিমা গণতন্ত্রের মাধ্যমে (বাহ্যিক কিছু পরিবর্তন এনে ‘ইসলামী গণতন্ত্র’ নাম দিয়ে) কি ইসলামী বিপ্লব (অথবা ইসলামের বিজয়, শরিয়ত প্রতিষ্ঠা, নেযামে মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইত্যাদি) অর্জন করা সম্ভব? এ বিষয়ে আপনিও একটি মন্তব্য বলুন; আমরা ইনশাআল্লাহ ‘আল-বুরহান’-এর আগামী সংখ্যায় এ বিষয়ে আলোচনা করব।’ – ড.মুহাম্মদ আমিন
জামাত-শিবির/ইখওয়ান
মিথ্যে গণতন্ত্র
ডাউনলোড করুন –
লিঙ্ক ১
লিঙ্ক ২
লিঙ্ক ৩
যদিও ইরাক আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আমেরিকা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সাথে আলোচনা করেনি, এবং সাধারন পরিষদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি, তবুও বাস্তবতা হল জাতিসংঘের সাধারন পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদ দুটোই আমেরিকার পরিকল্পন অনুযায়ীই ১৯৪৫ সালে স্থাপিত হয়েছিল। এ গণতন্ত্রকে ঘিরে একটি মিথ্যার পুনরাবৃত্তি করা হয় আর তা হল, মুসলিম উম্মাহ ও দেশগুলোতে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিই হল মুসলিম উম্মাহর তীব্র সমস্যার কারণ।
কুতুব ও কারদাবি – ড. তারিক আব্দুল হালিম
সাইয়্যিদ কুতুব রহঃ ও ইউসুফ আল-কারদাবি। ইখওয়ানুল মুসলিমীন এবং জামায়াতে ইসলামীর চিন্তাধারার সাথে এ দুটো নাম যুক্ত।
কিন্তু এ দুজনের চিন্তা কি সামঞ্জস্যপূর্ণ? দু’জনের চিন্তা কি মৌলিকভাবে এক, নাকি গুরুতর পার্থক্য বিদ্যমান? ইখওয়ান এবং জামাত কি সাইয়্যিদ কুতুবের চিন্তার অনুসরণ করে? নাকি কারদাবির?
বস্তুত সাইয়্যিদ কুতুবের চিন্তাকে ইখওয়ান-জামাতের সাথে ব্যপকভাবে যুক্ত করা হলেও বর্তমানে এ দুটী দল কোন ভাবেই সাইয়্যিদ কুতুবের চিন্তার অনুসরণ করে না। বরং তাদের ঘোষিত অবস্থান অনুযায়ী সাইয়্যিদ কুতুবের চিন্তা ‘তাকফিরি” এবং “চরমপন্থী”। অন্যদিকে সাইয়্যিদ কুতুবের চিন্তা অনুযায়ী বিচার করলে ইখওয়ান ও জামাত ব্যাপকভাবে জাহেলিয়্যাতের মধ্যে নিমজ্জিত।
ইসলাম ও ইখওয়ানঃ সংঘাত যেখানে
ইখওয়ান ও সমমনা দলগুলো মাসলাহাত, আধুনিকায়ন ও বাস্তবমুখী হবার নাম করে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন আক্বিদা ও মানহাজগত বিচ্যুতির স্বাভাবিকীকরন করেছে। প্রয়োজন মতো শারীয়াহর নসের বিকৃতি ও ভুল ব্যাখ্যা করেছে, আর যখন তা যথেষ্ট হয় নি তখন বিভিন্ন বুদ্ধিজাত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন আর রেটোরিক দিয়ে যা জায়েজ করা দরকার তা জায়েজ করে নিয়েছে। যখনই তাদের এসব কার্যক্রমকে শরীয়াহর মানদণ্ডে বিচার করার চেষ্টা করা হয়েছে তারা বিভিন্ন ভাবে তা এড়িয়ে গেছে। নিজেদের কল্পিত বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষ, “হিকমাহ” আর মাসলাহাতের বুলি আওড়ে অভিযোগকারীকে বোকা, নির্বোধ, বাস্তবজ্ঞান ও কান্ডজ্ঞানহীন প্রমাণে সচেষ্ট হয়েছে।
যুগের পরিবর্তনের সাথে ফতোয়ার পরিবর্তনের মানে কী?
মুফতী তাকি উসমানি (দা বা)
পশ্চিমাদের গুণমুগ্ধ আধুনিক কিছু মডারেট মুসলিম ও ইসলামী রাজনীতির দোহাই দিয়ে যত্রতত্র দীনী বিকৃতিতে লিপ্ত ভাইদের বহুল প্রচলিত একটি সংশয় নিরসনে আলোচনা করছেন মুফতি তাকি উসমানি (দা বা) Continue reading
আধুনিক মুসলিমদের একটি ভয়াবহ সংশয়ঃ “আলেমদের বিরল ও বিচ্ছিন্ন মতের অনুসরণ….”
মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
‘যাল্লাত, শুযুযাত, নাওয়াদের’ ইত্যাদি দ্বারা বোঝানো হয়, শরীয়তের কোন সুষ্পষ্ট প্রতিষ্ঠিত বিধানের বিপরীতে, প্রায় সকল ইমামদের মতামতের চেয়ে ভিন্ন ও সাংঘর্ষিক মত প্রদান করা। যেমন, ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। কেও একজন এটাকে মুস্তাহাব বলল। মদ খাওয়া হারাম। কেও একজন, এটাকে জায়েজ বলল। এই ধরণের মতামত যদি কেও দিয়েও থাকেন, সেটা অনুসরণ করা হারাম ও নিকৃষ্ট কাজ। Continue reading
শুকনো খেজুর দিয়ে তৈরি গণতন্ত্রের মূর্তি!
ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্র ও ভোটাভুটি
ইসলামি গণতন্ত্রের সংশয় নিরসন
গণতন্ত্র একটি দ্বীন!
সংসদ ও সংসদ সদস্যদের ব্যাপারে বিধান কি?
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
প্রশ্ন: সংসদগুলোর ব্যাপারে বিধান কি এবং যারা এগুলোতে যারা প্রবেশ করে তাদের ব্যাপারে বিধান কি?
উত্তরঃ
সংসদগুলোর ব্যাপারে বিধান হচ্ছে এগুলোর ইসলামে অনুমতি নেই এবং এগুলো শিরক ও কুফরের জায়গা এবং আমরা এগুলোকে তাগুত হিসেবে দেখি কেননা এগুলো হচ্ছে আইন প্রণয়নের এবং আল্লাহ’র অবতীর্ণ আইন(শরীয়াহ) ব্যাতীত অন্য ভাবে আইন তৈরীর স্থান। Continue reading
গণতান্ত্রিক ‘ইসলামি’ দল কর্তৃক সৃষ্ট সংশয় নিরসন – আলি আল খুদাইর ফা আ
আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিকে মাক্কী জীবনের সাথে তুলনা করা কী ঠিক হবে?
লেখকঃ শায়খ সুলায়মান আল-উলওয়ান (আল্লাহ্ তাঁকে সৌদির কারাগার থেকে দ্রুত মুক্তি দান করুন)
মাক্কী জীবনে সাহাবীরা দুর্বল অবস্থায় ছিলেন। আর রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه و سلم) বিভিন্ন কারণে মক্কার উদ্ভূত পরিস্থিতিগুলোকে মদীনার সময়ের থেকে ভিন্ন ভাবে মোকাবেলা করেছিলেন। Continue reading